জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ একপক্ষ নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রদান করে এবং অন্য পক্ষ ওই প্রিমিয়ামের বিনিময়ে জীবনহানি বা মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণস্বরূপ বীমাকৃত অর্থ পরিশোধ করে। বীমাগ্রহীতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। বীমাগ্রহীতা চুক্তি মোতাবেক সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। বীমা কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব হলো, চুক্তি মোতাবেক গ্রহীতাকে সেবা
প্রদান করা।
জীবন বীমা সাধারণ কোনো পণ্য নয়। জীবন বীমা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেক সময় ভুল ধারণা জন্ম নিতে দেখা যায়, যেমন—
১. আমার জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের প্রয়োজন নেই: কথাটি সত্যি নয়। জীবনের প্রধান সত্য হলো মৃত্যু। যে মানুষটির রোজগারে পুরো পরিবার চলে, সে মানুষটির অকাল মৃত্যুতে পরিবার এক অনিশ্চয়তায় পতিত হয়, থেমে যেতে চায় জীবনের চাকা। অনেক সময় অর্থাভাবে সন্তানের লেখাপড়া, চিকিত্সা, বিয়েসহ নানা সংকটে দৈনন্দিন জীবনযাপন দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। জীবন বীমার ক্ষেত্রে বীমাগ্রহীতা এক বা একাধিক মনোনীতক নিয়োগ করেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে তার মৃত্যু হলে মনোনীতককে পূর্বনির্ধারিত বীমা অঙ্ক প্রদান করা যায়। তাই জীবন বীমা পত্র ক্রয় করা থাকলে ব্যক্তির অভাব সম্পূর্ণ পূরণ সম্ভব না হলেও আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
২. বীমা কোম্পানিগুলো ব্যাংকের চেয়ে কম লাভ দেয়: বীমা পলিসি ক্রয় না করে টাকা এফডিআর বা অন্য কোনো নামে ব্যাংকে জমা রাখলে ব্যাংক জমাকৃত টাকা ও নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদসমেত হিসাব গ্রহীতাকে অথবা তার মনোনীতককে ফেরত দেয়। কিন্তু জীবনের কোনো ঝুঁকি নেয় না। সবসময় ব্যাংকের লাভের সঙ্গে জীবন বীমা পলিসির তুলনা করা সঠিক নয়। কেননা দুটির উদ্দেশ্য আলাদা। ব্যাংক শুধু জমাকৃত টাকার হেফাজত করে, অন্যদিকে জীবন বীমা কোম্পানি গ্রহীতার আর্থিক ঝুঁকি-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করে।
৩. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় অর্থ অপচয়ের শামিল: জীবন বীমা পলিসি ক্রয় একটি বিনিয়োগ। কোনোক্রমেই অর্থ অপচয় নয়। পলিসি কিনলে বীমাগ্রহীতা কোম্পানির কাছ থেকে বীমা দাবি পান। এ বীমা দাবি দিয়ে গ্রহীতা সাময়িক আর্থিক সমস্যা মেটাতে পারেন, উন্নয়নমূলক কোনো কাজ এবং অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে ও পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারেন।
৪. আমার অনেক সম্পদ রয়েছে সুতরাং বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: প্রচুর সম্পদ অনেক সময় দায় সৃষ্টি করে। দেখা দরকার যে, মোট সম্পদের তুলনায় মোট দায় (চলতি দায় ও দীর্ঘমেয়াদি দায়) কম না বেশি। যদি মোট দায় বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত দায়ের সমপরিমাণ বীমা পলিসি ক্রয় করে ঘাটতি মেটানো যেতে পারে। জীবন বীমা পলিসি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ থেকে অর্জিত লাভের একটি অংশ টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায়, অন্য অংশটি পরিমাপযোগ্য নয়।
৫. একাকী জীবনে বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: জীবনমাত্রই ঝুঁকি। ঝুঁকি বিদ্যমানও হতে পারে কিংবা ভবিষ্যতে আসতে পারে। কেননা ভবিষ্যৎ অজানা। সুতরাং একাকী জীবন হলেও বীমা পলিসি ক্রয় করা উচিত।
৬. প্রতিষ্ঠান আমার জন্য গ্রুপ পলিসির ব্যবস্থা করেছেন: অনেক সময় চাকুরিদাতা তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা করেন, যেখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজের জীবন বীমাকৃত থাকলেও, পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবন বীমার বাইরে থেকে যায়। আমাদের বেড়ে ওঠার পেছনে যেমন পরিবারের অন্য সদস্যদের অবদান রয়েছে, তেমনি তাদের প্রতিও আমাদের কর্তব্য রয়েছে। সুতরাং নিজের জীবন ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ঝুঁকিগ্রস্ত হলে শান্তি আসবে না।
৭. আমার একটি পলিসি রয়েছে, সুতরাং আর দরকার নেই: জীবনের মূল্য টাকার অঙ্কে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায় না। জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের কোনো নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। সামর্থ্যবান ব্যক্তি তার সম্পদ অনুযায়ী যত খুশি তত জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করতে পারেন।
৮. বেশি অঙ্কের বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ বীমা অঙ্ক দরকার তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। চিকিত্সাসেবা, দায় পরিশোধ, সন্তানের ভরণ-পোষণ ইত্যাদি মেটানোর জন্য যথাযথ অর্থের সংস্থান করা প্রয়োজন।
৯. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় না করে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করব: সব বিনিয়োগের মধ্যেই ঝুঁকি বিদ্যমান। একমাত্র জীবন বীমা পলিসি ঝুঁকি কমানো/নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কর রেয়াত পাওয়া যায়।
১০. আমার অবর্তমানে নমিনি বীমার টাকা নাও পেতে পারে: বীমা ব্যবসা একটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। বীমা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকেই নীতিগুলো মেনে চলতে হয়। বীমার ক্ষেত্রে বীমাযোগ্য স্বার্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। যে জীবনের বীমাযোগ্য স্বার্থ নেই, তা বীমা করা সম্ভব নয়। যেমন— মানুষের নিজের জীবনের ওপর তার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবনের ওপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। তবে দেনাদার তার পাওনাদারের জীবনের ওপর কোনো বীমাযোগ্য স্বার্থ বহন করে না। বীমাযোগ্য স্বার্থসহ অন্য সব তথ্য সঠিক থাকলে বীমাগ্রহীতার অবর্তমানে নমিনি বীমার দাবিকৃত অর্থ পেতে কোনো বাধা নেই।
উপরের উদাহরণগুলো ব্যতীত আরো অনেক ধারণা/মন্তব্য থাকতে পারে। সারা বিশ্বে বীমা ব্যবস্থা ঝুঁকি হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এটা একটি সমবায়ের মতোও বটে। যেখানে একজনের বিপদে অন্য সদস্যরাও ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। সুতরাং বীমাকে অবজ্ঞা না করে সামর্থ্য অনুযায়ী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ন্যূনতম একটি করে পলিসি ক্রয় করে আর্থিক ঝুঁকি যেমন হ্রাস করা সম্ভব, তেমনি এটি একটি ভালো বিনিয়োগও বটে। জীবন বীমা পলিসি লোকে ক্রয় করতে উত্সাহ দেখায় না, এটা বিক্রয় করতে হয়। বাংলাদেশে বিক্রীত প্রায় সব জীবন বীমা পলিসি বীমা এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকে। বীমা কোম্পানিগুলো তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলবে যেন তারা পলিসি হোল্ডারদের চাহিদা অনুধাবন করতে পারেন এবং সে অনুযায়ী তা বিক্রি করতে পারেন।
লেখক: ডিএমডি (এফঅ্যান্ডএ)
প্রদান করা।
জীবন বীমা সাধারণ কোনো পণ্য নয়। জীবন বীমা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেক সময় ভুল ধারণা জন্ম নিতে দেখা যায়, যেমন—
১. আমার জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের প্রয়োজন নেই: কথাটি সত্যি নয়। জীবনের প্রধান সত্য হলো মৃত্যু। যে মানুষটির রোজগারে পুরো পরিবার চলে, সে মানুষটির অকাল মৃত্যুতে পরিবার এক অনিশ্চয়তায় পতিত হয়, থেমে যেতে চায় জীবনের চাকা। অনেক সময় অর্থাভাবে সন্তানের লেখাপড়া, চিকিত্সা, বিয়েসহ নানা সংকটে দৈনন্দিন জীবনযাপন দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। জীবন বীমার ক্ষেত্রে বীমাগ্রহীতা এক বা একাধিক মনোনীতক নিয়োগ করেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে তার মৃত্যু হলে মনোনীতককে পূর্বনির্ধারিত বীমা অঙ্ক প্রদান করা যায়। তাই জীবন বীমা পত্র ক্রয় করা থাকলে ব্যক্তির অভাব সম্পূর্ণ পূরণ সম্ভব না হলেও আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
২. বীমা কোম্পানিগুলো ব্যাংকের চেয়ে কম লাভ দেয়: বীমা পলিসি ক্রয় না করে টাকা এফডিআর বা অন্য কোনো নামে ব্যাংকে জমা রাখলে ব্যাংক জমাকৃত টাকা ও নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদসমেত হিসাব গ্রহীতাকে অথবা তার মনোনীতককে ফেরত দেয়। কিন্তু জীবনের কোনো ঝুঁকি নেয় না। সবসময় ব্যাংকের লাভের সঙ্গে জীবন বীমা পলিসির তুলনা করা সঠিক নয়। কেননা দুটির উদ্দেশ্য আলাদা। ব্যাংক শুধু জমাকৃত টাকার হেফাজত করে, অন্যদিকে জীবন বীমা কোম্পানি গ্রহীতার আর্থিক ঝুঁকি-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করে।
৩. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় অর্থ অপচয়ের শামিল: জীবন বীমা পলিসি ক্রয় একটি বিনিয়োগ। কোনোক্রমেই অর্থ অপচয় নয়। পলিসি কিনলে বীমাগ্রহীতা কোম্পানির কাছ থেকে বীমা দাবি পান। এ বীমা দাবি দিয়ে গ্রহীতা সাময়িক আর্থিক সমস্যা মেটাতে পারেন, উন্নয়নমূলক কোনো কাজ এবং অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে ও পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারেন।
৪. আমার অনেক সম্পদ রয়েছে সুতরাং বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: প্রচুর সম্পদ অনেক সময় দায় সৃষ্টি করে। দেখা দরকার যে, মোট সম্পদের তুলনায় মোট দায় (চলতি দায় ও দীর্ঘমেয়াদি দায়) কম না বেশি। যদি মোট দায় বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত দায়ের সমপরিমাণ বীমা পলিসি ক্রয় করে ঘাটতি মেটানো যেতে পারে। জীবন বীমা পলিসি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ থেকে অর্জিত লাভের একটি অংশ টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায়, অন্য অংশটি পরিমাপযোগ্য নয়।
৫. একাকী জীবনে বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: জীবনমাত্রই ঝুঁকি। ঝুঁকি বিদ্যমানও হতে পারে কিংবা ভবিষ্যতে আসতে পারে। কেননা ভবিষ্যৎ অজানা। সুতরাং একাকী জীবন হলেও বীমা পলিসি ক্রয় করা উচিত।
৬. প্রতিষ্ঠান আমার জন্য গ্রুপ পলিসির ব্যবস্থা করেছেন: অনেক সময় চাকুরিদাতা তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা করেন, যেখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজের জীবন বীমাকৃত থাকলেও, পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবন বীমার বাইরে থেকে যায়। আমাদের বেড়ে ওঠার পেছনে যেমন পরিবারের অন্য সদস্যদের অবদান রয়েছে, তেমনি তাদের প্রতিও আমাদের কর্তব্য রয়েছে। সুতরাং নিজের জীবন ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ঝুঁকিগ্রস্ত হলে শান্তি আসবে না।
৭. আমার একটি পলিসি রয়েছে, সুতরাং আর দরকার নেই: জীবনের মূল্য টাকার অঙ্কে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায় না। জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের কোনো নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। সামর্থ্যবান ব্যক্তি তার সম্পদ অনুযায়ী যত খুশি তত জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করতে পারেন।
৮. বেশি অঙ্কের বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ বীমা অঙ্ক দরকার তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। চিকিত্সাসেবা, দায় পরিশোধ, সন্তানের ভরণ-পোষণ ইত্যাদি মেটানোর জন্য যথাযথ অর্থের সংস্থান করা প্রয়োজন।
৯. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় না করে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করব: সব বিনিয়োগের মধ্যেই ঝুঁকি বিদ্যমান। একমাত্র জীবন বীমা পলিসি ঝুঁকি কমানো/নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কর রেয়াত পাওয়া যায়।
১০. আমার অবর্তমানে নমিনি বীমার টাকা নাও পেতে পারে: বীমা ব্যবসা একটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। বীমা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকেই নীতিগুলো মেনে চলতে হয়। বীমার ক্ষেত্রে বীমাযোগ্য স্বার্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। যে জীবনের বীমাযোগ্য স্বার্থ নেই, তা বীমা করা সম্ভব নয়। যেমন— মানুষের নিজের জীবনের ওপর তার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবনের ওপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। তবে দেনাদার তার পাওনাদারের জীবনের ওপর কোনো বীমাযোগ্য স্বার্থ বহন করে না। বীমাযোগ্য স্বার্থসহ অন্য সব তথ্য সঠিক থাকলে বীমাগ্রহীতার অবর্তমানে নমিনি বীমার দাবিকৃত অর্থ পেতে কোনো বাধা নেই।
উপরের উদাহরণগুলো ব্যতীত আরো অনেক ধারণা/মন্তব্য থাকতে পারে। সারা বিশ্বে বীমা ব্যবস্থা ঝুঁকি হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এটা একটি সমবায়ের মতোও বটে। যেখানে একজনের বিপদে অন্য সদস্যরাও ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। সুতরাং বীমাকে অবজ্ঞা না করে সামর্থ্য অনুযায়ী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ন্যূনতম একটি করে পলিসি ক্রয় করে আর্থিক ঝুঁকি যেমন হ্রাস করা সম্ভব, তেমনি এটি একটি ভালো বিনিয়োগও বটে। জীবন বীমা পলিসি লোকে ক্রয় করতে উত্সাহ দেখায় না, এটা বিক্রয় করতে হয়। বাংলাদেশে বিক্রীত প্রায় সব জীবন বীমা পলিসি বীমা এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকে। বীমা কোম্পানিগুলো তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলবে যেন তারা পলিসি হোল্ডারদের চাহিদা অনুধাবন করতে পারেন এবং সে অনুযায়ী তা বিক্রি করতে পারেন।
লেখক: ডিএমডি (এফঅ্যান্ডএ)
No comments:
Post a Comment