Tuesday, July 12, 2016

আমার কেন বীমার প্রয়োজন?

যারা আপনার উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল বিশিষ্ট রুপে তাদের জন্য আয় অবিরত রাখতে আপনার জীবন বিমার প্রয়োজন৷ আপনার পরিবারের আর্থিক প্রয়োজনীয়তার জন্য জীবন বিমা আপনাকে রক্ষাকবচ হিসেবে সহায়তা করতে পারে৷

প্রচলিত যৌথ পরিবার ব্যবস্থার স্থির অনিশ্চয়তা এবং ছোট পরিবারের উদ্ভবের কারণে বীমার প্রযোজনীয়তা এমনকি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে৷ আপনার পরিবারের সর্ব সময়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চাহিদার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার জন্য আপনার জীবন বীমার প্রয়োজন৷

সুরক্ষা
আপনি যাদের ভালবাসেন সেই মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার জীবন বীমার প্রয়োজন কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটলে আপনার পরিবার নিজেই এর দেখাশোনা করতে পারে সেটি সুনিশ্চিত করুন৷ এটি একটি চিন্তাশীল ব্যবসায়িক ধারনা আর্থিকভাবে আপনার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের সুবিধার জন্য মানব জীবনের অর্থনৈতিক মূল্যের সুরক্ষা দিতে ডিজাইন করা হয়েছে৷ এটি একটি ভালো কারণ

রিটায়ারমেন্ট
জীবন বীমা সুনিশ্চিত করে যে অবসরের পরে আপনি নিয়মিত আয় করতে পারবেন এবং এছাড়া আপনার বাঁচার জীবনশৈলীও রক্ষা করতে সহায়তা করে৷ এটি আপনার অবসরের পরের বছরগুলি শান্তি এবং স্বস্থিতে ব্যয় করা সুনিশ্চিত করে৷

সেভিংস এবং বিনিয়োগ
বিমার মানে হল সাশ্রয় এবং বিনিয়োগ৷ আপনার পর্যায়ক্রমিক প্রিমিয়াম হল যেমন সাশ্রয় এবং মেয়াদ পূর্তিতে আপনি সুনিশ্চিত এককালীন রাশি পাবেন৷ আপনার সন্তানের শিক্ষা অথবা বিবাহের সময়ে কোনো পলিসি সত্যিকারে সুবিধাজনক হতে পারে! এছাড়া, অবসরের পরে আয়ের বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে!

জীবন বীমা করার আগে ৪টি বিষয় ভাবুন

এক. জীবন বীমা দরকার হয় কেন? সত্য কথা হচ্ছে, জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তার জন্য সবারই জীবন বীমা করার কোনো দরকার নেই। কারণ, জীবন বীমার উদ্দেশ্য  আসলে আপনার নিজের আর্থিক সুবিধার জন্য নয়। বরং আপনার ওপর যারা নির্ভরশীল, তাদের আর্থিক সমর্থন যোগাতে আপনি যখন কাছেপিঠে নেই, তখন সেই নির্ভরশীলদের জন্য সমর্থন যোগানোই জীবন বীমার মূল লক্ষ্য। কাজেই আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল যদি কেউ না থাকে, তবে আপনার বোধহয় জীবন বীমার পেছনে অর্থ খরচের দরকার নেই। জীবনে যদি আপনি কারো আর্থিক ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব খুব গুরুত্বের সাথে নেন, তখনই এ প্রশ্ন আসে যে, আপনি যখন আর দেখাশোনা করতে পারবেন না, তখনকার আর্থিক নিশ্চয়তার কি হবে? এছাড়া জীবন বীমার খুব একটা কাজ নেই।

দুই. কোন ধরনের জীবন বীমাপত্র কিনবেন সাধারণত জীবন বীমা মোটাদাগে দুই ধরণের হয়, মেয়াদী বীমা ও আজীবন বীমা। নির্দিষ্ট মেয়াদের জীবন বীমাপত্রে খরচ কম, কারণ সাধারণ বেনিফিট কাজে লাগানোর আগেই এর মেয়াদ শেষ হয়। আর বীমাপত্র কেনার দিন থেকে শুরু করে আপনার মৃত্যুর দিন যাবত আজীবন বীমাপত্রের মেয়াদ। এর দাম বেশি। কারণ মেয়াদ শেষের পর কয়েক বছর থেকে শুরু করে এমনকি কয়েক দশক যাবত এর বেনিফিট দিতে হতে পারে কোম্পানিকে। কাজেই আজীবন বীমাপত্র আপনি বেশি দামে কিনতে পারেন, অন্যদিকে মেয়াদী বীমাপত্রের দামের বিষয়ে কড়া থাকুন।

তিন. মেয়াদ পছন্দ করবেন কিভাবে যদি মনে করেন, আপনার পোষ্যরা চিরকালের জন্য আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল থাকবে না, তবে মেয়াদী জীবন বীমা করাই আপনার জন্য ভালো হবে। যেমন ধরুন, আপনার সন্তানরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবার আগে তক আপনি মেয়াদী জীবন বীমা করতে পারেন। তারা যদি স্বনির্ভর হয়েই ওঠে তবে তো আর বীমাপত্রের পেছনে অবিরাম টাকা খরচ করে যাবার মানে হয় না। অন্যদিকে যদি এমন কোনো পোষ্য থাকে আপনার, যার পক্ষে যে কারণেই হোক আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন সম্ভব নয় বলে আপনি মনে করেন, তবে আজীবন বীমার কথা ভাবতে হবে।

চার. কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র কিনবেন এ প্রশ্নের জবার তালাশের আগে অন্য একটি প্রশ্ন করুন নিজেকে। আপনার কাঙ্খিত উপকারভোগীদের দরকার কি পরিমাণ? এ দরকার যদি অনুমান করতে পারেন, তবে কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র দরকার, তা বের হয়ে আসবে। কোম্পানির কাগজপত্রে থাকা লাভালাভের চমক লাগানো হিসাব ধরে এ সিদ্ধান্ত কখনোই নিতে যাবেন না। আপনার দরকার হিসাব করুন। নিজের এ অঙ্কের অনুসারেই সিদ্ধান্ত নিন। ভাবুন; আপনার পোষ্যদের প্রতি বছর কি পরিমাণ টাকার দরকার হবে, কত বছর ধরে এ দরকার থাকবে? আপনার পোষ্যরা হয়তো নানা বয়সের, তাদের দরকারের সময় কমবেশি হবে। এসব সূত্র ধরে হিসাব শেষ করুন।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য তিন ধরনের বীমা চালু

পেনশনের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য তিন ধরনের বীমা ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশ, সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি এবং এ-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশে সরকারি চাকুরেদের জন্য জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ও দুর্ঘটনা বীমা প্রবর্তনের এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এসব বীমার প্রিমিয়াম সরকার বহন করবে। সাধারণ বীমা করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশন ও বেসরকারি বীমা কম্পানিগুলো সরকারি কর্মচারীদের বীমা করার বিষয়ে আলাদা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় এখন সেগুলো পর্যালোচনা করছে।

অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘সরকার সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন করছে, যা আগেই মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বীমা থাকছে এবং এর বাইরে থাকা সব জনগোষ্ঠীর জন্য সোশ্যাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বেসরকারি খাতের পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বীমা চালুর সুপারিশ ছিল পে-কমিশনের প্রতিবেদনে। মন্ত্রিপরিষদ সভা থেকে বিষয়টি অধিকতর বিবেচনা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটির বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। কীভাবে এ বীমার বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে ব্যাংকিং বিভাগ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন এই বীমা প্যাকেজ দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘটনা হ্রাস করবে। যদিও দুর্নীতির বিষয়টি শুধু একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না। তবে বীমা যেহেতু এক ধরনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তাই এই উদ্যোগ বাড়তি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতর।

এর আগে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য তিনটি বীমা ও বেসরকারি খাতের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালুর উপায় বের করতে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলমকে লিখিত নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জীবন বীমা সম্পর্কে যত ভুল ধারণা

জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ একপক্ষ নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রদান করে এবং অন্য পক্ষ ওই প্রিমিয়ামের বিনিময়ে জীবনহানি বা মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণস্বরূপ বীমাকৃত অর্থ পরিশোধ করে। বীমাগ্রহীতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। বীমাগ্রহীতা চুক্তি মোতাবেক সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। বীমা কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব হলো, চুক্তি মোতাবেক গ্রহীতাকে সেবা
প্রদান করা।
জীবন বীমা সাধারণ কোনো পণ্য নয়। জীবন বীমা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেক সময় ভুল ধারণা জন্ম নিতে দেখা যায়, যেমন—
১. আমার জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের প্রয়োজন নেই: কথাটি সত্যি নয়। জীবনের প্রধান সত্য হলো মৃত্যু। যে মানুষটির রোজগারে পুরো পরিবার চলে, সে মানুষটির অকাল মৃত্যুতে পরিবার এক অনিশ্চয়তায় পতিত হয়, থেমে যেতে চায় জীবনের চাকা। অনেক সময় অর্থাভাবে সন্তানের লেখাপড়া, চিকিত্সা, বিয়েসহ নানা সংকটে দৈনন্দিন জীবনযাপন দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। জীবন বীমার ক্ষেত্রে বীমাগ্রহীতা এক বা একাধিক মনোনীতক নিয়োগ করেন, যাতে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে তার মৃত্যু হলে মনোনীতককে পূর্বনির্ধারিত বীমা অঙ্ক প্রদান করা যায়। তাই জীবন বীমা পত্র ক্রয় করা থাকলে ব্যক্তির অভাব সম্পূর্ণ পূরণ সম্ভব না হলেও আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
২. বীমা কোম্পানিগুলো ব্যাংকের চেয়ে কম লাভ দেয়: বীমা পলিসি ক্রয় না করে টাকা এফডিআর বা অন্য কোনো নামে ব্যাংকে জমা রাখলে ব্যাংক জমাকৃত টাকা ও নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদসমেত হিসাব গ্রহীতাকে অথবা তার মনোনীতককে ফেরত দেয়। কিন্তু জীবনের কোনো ঝুঁকি নেয় না। সবসময় ব্যাংকের লাভের সঙ্গে জীবন বীমা পলিসির তুলনা করা সঠিক নয়। কেননা দুটির উদ্দেশ্য আলাদা। ব্যাংক শুধু জমাকৃত টাকার হেফাজত করে, অন্যদিকে জীবন বীমা কোম্পানি গ্রহীতার আর্থিক ঝুঁকি-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করে।
৩. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় অর্থ অপচয়ের শামিল: জীবন বীমা পলিসি ক্রয় একটি বিনিয়োগ। কোনোক্রমেই অর্থ অপচয় নয়। পলিসি কিনলে বীমাগ্রহীতা কোম্পানির কাছ থেকে বীমা দাবি পান। এ বীমা দাবি দিয়ে গ্রহীতা সাময়িক আর্থিক সমস্যা মেটাতে পারেন, উন্নয়নমূলক কোনো কাজ এবং অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে ও পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারেন।
৪. আমার অনেক সম্পদ রয়েছে সুতরাং বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: প্রচুর সম্পদ অনেক সময় দায় সৃষ্টি করে। দেখা দরকার যে, মোট সম্পদের তুলনায় মোট দায় (চলতি দায় ও দীর্ঘমেয়াদি দায়) কম না বেশি। যদি মোট দায় বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত দায়ের সমপরিমাণ বীমা পলিসি ক্রয় করে ঘাটতি মেটানো যেতে পারে। জীবন বীমা পলিসি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ থেকে অর্জিত লাভের একটি অংশ টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায়, অন্য অংশটি পরিমাপযোগ্য নয়।
৫. একাকী জীবনে বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: জীবনমাত্রই ঝুঁকি। ঝুঁকি বিদ্যমানও হতে পারে কিংবা ভবিষ্যতে আসতে পারে। কেননা ভবিষ্যৎ অজানা। সুতরাং একাকী জীবন হলেও বীমা পলিসি ক্রয় করা উচিত।
৬. প্রতিষ্ঠান আমার জন্য গ্রুপ পলিসির ব্যবস্থা করেছেন: অনেক সময় চাকুরিদাতা তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা করেন, যেখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজের জীবন বীমাকৃত থাকলেও, পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবন বীমার বাইরে থেকে যায়। আমাদের বেড়ে ওঠার পেছনে যেমন পরিবারের অন্য সদস্যদের অবদান রয়েছে, তেমনি তাদের প্রতিও আমাদের কর্তব্য রয়েছে। সুতরাং নিজের জীবন ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ঝুঁকিগ্রস্ত হলে শান্তি আসবে না।
৭. আমার একটি পলিসি রয়েছে, সুতরাং আর দরকার নেই: জীবনের মূল্য টাকার অঙ্কে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায় না। জীবন বীমা পলিসি ক্রয়ের কোনো নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। সামর্থ্যবান ব্যক্তি তার সম্পদ অনুযায়ী যত খুশি তত জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করতে পারেন।
৮. বেশি অঙ্কের বীমা পলিসির প্রয়োজন নেই: একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ বীমা অঙ্ক দরকার তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। চিকিত্সাসেবা, দায় পরিশোধ, সন্তানের ভরণ-পোষণ ইত্যাদি মেটানোর জন্য যথাযথ অর্থের সংস্থান করা প্রয়োজন।
৯. জীবন বীমা পলিসি ক্রয় না করে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করব: সব বিনিয়োগের মধ্যেই ঝুঁকি বিদ্যমান। একমাত্র জীবন বীমা পলিসি ঝুঁকি কমানো/নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। জীবন বীমা পলিসি ক্রয় করলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কর রেয়াত পাওয়া যায়।
১০. আমার অবর্তমানে নমিনি বীমার টাকা নাও পেতে পারে: বীমা ব্যবসা একটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। বীমা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকেই নীতিগুলো মেনে চলতে হয়। বীমার ক্ষেত্রে বীমাযোগ্য স্বার্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। যে জীবনের বীমাযোগ্য স্বার্থ নেই, তা বীমা করা সম্ভব নয়। যেমন— মানুষের নিজের জীবনের ওপর তার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবনের ওপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। তবে দেনাদার তার পাওনাদারের জীবনের ওপর কোনো বীমাযোগ্য স্বার্থ বহন করে না। বীমাযোগ্য স্বার্থসহ অন্য সব তথ্য সঠিক থাকলে বীমাগ্রহীতার অবর্তমানে নমিনি বীমার দাবিকৃত অর্থ পেতে কোনো বাধা নেই।
উপরের উদাহরণগুলো ব্যতীত আরো অনেক ধারণা/মন্তব্য থাকতে পারে। সারা বিশ্বে বীমা ব্যবস্থা ঝুঁকি হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এটা একটি সমবায়ের মতোও বটে। যেখানে একজনের বিপদে অন্য সদস্যরাও ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। সুতরাং বীমাকে অবজ্ঞা না করে সামর্থ্য অনুযায়ী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ন্যূনতম একটি করে পলিসি ক্রয় করে আর্থিক ঝুঁকি যেমন হ্রাস করা সম্ভব, তেমনি এটি একটি ভালো বিনিয়োগও বটে। জীবন বীমা পলিসি লোকে ক্রয় করতে উত্সাহ দেখায় না, এটা বিক্রয় করতে হয়। বাংলাদেশে বিক্রীত প্রায় সব জীবন বীমা পলিসি বীমা এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকে। বীমা কোম্পানিগুলো তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলবে যেন তারা পলিসি হোল্ডারদের চাহিদা অনুধাবন করতে পারেন এবং সে অনুযায়ী তা বিক্রি করতে পারেন।
লেখক: ডিএমডি (এফঅ্যান্ডএ)

Motorcycle Insurance In Bangladesh

We know the importance of insurance and insurance holder an essential part of any bike. In a densely populated country like Bangladesh road accident is a common incident. Insurance can’t re-back your bike but can help you to overcome the disaster. In Bangladesh it’s pretty tough to get information about bike insurance. You need to go their office then a long time discussion which is not possible for everyone in anytime. In this motorcycle Insurance In Bangladesh article I will try to give you an overall idea about the process of bike insurance. Due to the lack of enough information some insurance company try to harass the people. Only the awareness of a biker can save him. Motorcycle Insurance In Bangladesh will help you to raise your awareness and after reading this article you will have the ability to take right decision for your bike as well as you. In this motorcycle Insurance In Bangladesh I mentioned that insurance just an financial safety but depend on this nobody wants to lose his bike.
If you see the statistics of road accident in Bangladesh you will realize the importance of bike insurance. In motorcycle Insurance In Bangladesh I want to add a reference that according to a report from Daily Star road accidents claim on average 12,000 life’s annually and cause to about more than 35,000 injuries. Another statistics from World Bank says that road accidents is found to be 85 vehicles per 10,000 vehicles. Hope this statistics will raise your awareness and definitely make motorcycle Insurance In Bangladesh more informative. If you face an accident you can feel how shocking it is unless you can’t. After facing a terrific road accident you will find a shelter to help you and on that time insurance can help you economically. You may think that the article is about motorcycle Insurance In Bangladesh but I am discussing more about road accident why? Actually insurance is a one kind of safety solution but not satisfactory safety solution I mentioned it many times in motorcycle Insurance In Bangladesh because you have enough money and that’s why you bought your bike so after losing your bike I think nothing can satisfy you. I hope you know the proverb that; A biker can live without his wife and children but can’t live without his bike. Now as a part of motorcycle Insurance In Bangladesh I will describe what is insurance, how it works, various types of bike insurance etc.
In simple word insurance is a safety arrangement which will share your risk. It is actually a modified form of risk management which ensures the proper financial support in right time. An insurance company is the seller of insurance and policy holder is the person who bought insurance from the company. The company charges a certain amount from the policy holder which called the premium. Insurance policy is a contract between the policy holder and the company where details of all conditions will be described. So when you buy insurance at first ask for their insurance policy. Motorcycle Insurance In Bangladesh is a complete article about bike insurance and I know many of you acknowledged about this but it can be helpful for the new bikers. In motorcycle Insurance In Bangladesh I mentioned that there are various types of insurance. But you need know which one is suitable for you. There are three types of bike insurance such as type one, type two and type three. In motorcycle Insurance In Bangladesh I will describe the all three types. All three types of insurance are prepared for Bangladeshi vehicles. If you select one of type one or type two insurance you need to pay high premium. But this will give you more safety than any other type. Because if you select one from in this two types you will get the full compensation (ক্ষতিপূরণ) according to the company policy. That means if your bike face any destruction in road accidents you will get money. I already mentioned in motorcycle Insurance In Bangladesh that it just a financial help. Generally new bike owners are seen to take this type of insurance. Because they do not want to take any risk for their new bike and that’s why they have a tendency to take type one or type two. And another one is type three. For this type, companies do not pay any compensation. Generally reconditioned bike owners select this type of insurance package. In motorcycle Insurance In Bangladesh it needs to mention that premium for third type is very low and that’s the main reason why people select it. So be aware about selecting your insurance policy.

Necessary things to buy motorcycle insurance in Bangladesh:
Bluebook of the bike
two copies of Passport size photo
National ID card
Bike Paper (if available)
Driving License (if available)
Memo served by dealer from who you bought the bike
Most of the bike owner generally seen to take the third type because of its low fees. You can buy a third type insurance only at 200 tk with the duration of one year. After one year you can renew it by paying 200 tk with vat total 225 tk. Though driving license and bike license are necessary for insurance but most of the companies of Bangladesh start the process without asking this.
Bike Insurance In Bangladesh is a complete article about bike insurance. I tried my best to make it helpful for you. But before buy an insurance you must need to aware because only awareness can help you to take the right decision. For this you may discuss with any senior or anyone who knows about it.  Many of you may acknowledged about this but Bike Insurance In Bangladesh can be helpful for the new bikers.
-By Sifat Chowdhury

গাড়ির বীমা কেন করবেন কিভাবে করবেন

গাড়ি এবং আপনার সুরক্ষার জন্য গাড়ির বীমা করা প্রয়োজন।
গাড়ির বীমার ধরন
অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে আপনার গাড়ির ক্ষতি হলে বীমা আপনাকে সহায়তা করবে। এ ছাড়া চুরি হলে, আগুনে পুড়লে বা কোনো প্রাণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বীমা থাকলে বীমা কম্পানি আপনাকে সহায়তা করবে।
ড্রাইভিং করা অবস্থায় ড্রাইভার শারীরিক আঘাত পেলে এবং সেই সঙ্গে গাড়ির ক্ষতি হলে বীমা কম্পানি চিকিৎসা খরচ ও গাড়ি মেরামতে আপনাকে সাহায্য করবে। এ জন্য আপনাকে 'সম্পত্তি এবং শারীরিক আঘাত'- এই বীমা কিনতে হবে।
আপনি বা আপনার যাত্রী যদি দুর্ঘটনায় পড়েন এবং গুরুতর আঘাত পেয়ে থাকেন, বীমা কম্পানি চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে 'মেডিক্যাল পেমেন্ট বা ব্যক্তিগত আঘাত সুরক্ষা' এই বীমার প্যাকেজটি নিতে হবে। তাহলে মেডিক্যালের সব ব্যয়ভার বীমা কম্পানি বহন করবে।
গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে কোনো মামলা হলে আপনার গাড়িটি রক্ষার জন্য বীমা কম্পানি সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে 'শারীরিক আঘাত ও সম্পত্তি ক্ষতি দায়'- এই বীমাটি কিনতে হবে।
আপনার গাড়িটির যদি সামগ্রিক ক্ষতি হয় বা চুরি হয় এ ক্ষেত্রে গাড়ি ক্রয়ের সময় কোনো ঋণ নিয়ে থাকলে বীমা কম্পানি আপনাকে সহায়তা করবে।
কিভাবে করবেন
প্রথমে একটি বীমা কম্পানি বাছাই করুন। সেই বীমা কম্পানি থেকে আপনি কী কী সুবিধা পাবেন, তা জেনে নিন। আপনার কোনটি প্রয়োজন, সেটা ঠিক করার পর বীমা কম্পানির সঙ্গে কথা বলুন। বীমা কম্পানির সঙ্গে কথা বলে আপনার সামর্থ্যের মধ্যে প্যাকেজগুলো নিন। মাসিক টাকা পরিশোধ বা বাৎসরিক টাকা দেওয়ার বীমা আপনি নিতে পারেন।
প্রথমে আপনাকে একটি বীমাপত্র সংগ্রহ করতে হবে। বীমাপত্রে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর, আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বীমার ফরমটি পূরণ করতে হবে। আপনি কোন সেবাটি নিতে চাচ্ছেন, ফরমে তা উল্লেখ করে দিন। স্থানীয় এজেন্টদের (বীমা কম্পানির) কাছ থেকে আপনাকে ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে।
নানা ধরনের কভারেজে বার্ষিক ও মাসিক হার এবং টাকার পরিমাণ দেখে ফরমে উল্লেখ করুন। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমেও গাড়ির বীমা করাতে পারবেন।
সতর্কতা
* বীমা কম্পানি বাছাই করার ক্ষেত্রে যত্নবান হবেন। বীমা কম্পানির নাম এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে ভুল করবেন না।
* প্রয়োজনীয় বীমা সম্পর্কিত নিজের আর্থিক অবস্থা ও সম্পদ রক্ষা আপনার সামর্থ্যের মধ্যে আছে কি না তা বিবেচনা করুন।
* আপনি আপনার রাষ্ট্রের বীমা বিভাগ ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোক্তাস্বার্থ পর্যালোচনা এবং বন্ধু পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বীমা কম্পানির নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করে নিন।