এক. জীবন বীমা দরকার হয় কেন? সত্য কথা হচ্ছে, জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তার জন্য সবারই জীবন বীমা করার কোনো দরকার নেই। কারণ, জীবন বীমার উদ্দেশ্য আসলে আপনার নিজের আর্থিক সুবিধার জন্য নয়। বরং আপনার ওপর যারা নির্ভরশীল, তাদের আর্থিক সমর্থন যোগাতে আপনি যখন কাছেপিঠে নেই, তখন সেই নির্ভরশীলদের জন্য সমর্থন যোগানোই জীবন বীমার মূল লক্ষ্য। কাজেই আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল যদি কেউ না থাকে, তবে আপনার বোধহয় জীবন বীমার পেছনে অর্থ খরচের দরকার নেই। জীবনে যদি আপনি কারো আর্থিক ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব খুব গুরুত্বের সাথে নেন, তখনই এ প্রশ্ন আসে যে, আপনি যখন আর দেখাশোনা করতে পারবেন না, তখনকার আর্থিক নিশ্চয়তার কি হবে? এছাড়া জীবন বীমার খুব একটা কাজ নেই।
দুই. কোন ধরনের জীবন বীমাপত্র কিনবেন সাধারণত জীবন বীমা মোটাদাগে দুই ধরণের হয়, মেয়াদী বীমা ও আজীবন বীমা। নির্দিষ্ট মেয়াদের জীবন বীমাপত্রে খরচ কম, কারণ সাধারণ বেনিফিট কাজে লাগানোর আগেই এর মেয়াদ শেষ হয়। আর বীমাপত্র কেনার দিন থেকে শুরু করে আপনার মৃত্যুর দিন যাবত আজীবন বীমাপত্রের মেয়াদ। এর দাম বেশি। কারণ মেয়াদ শেষের পর কয়েক বছর থেকে শুরু করে এমনকি কয়েক দশক যাবত এর বেনিফিট দিতে হতে পারে কোম্পানিকে। কাজেই আজীবন বীমাপত্র আপনি বেশি দামে কিনতে পারেন, অন্যদিকে মেয়াদী বীমাপত্রের দামের বিষয়ে কড়া থাকুন।
তিন. মেয়াদ পছন্দ করবেন কিভাবে যদি মনে করেন, আপনার পোষ্যরা চিরকালের জন্য আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল থাকবে না, তবে মেয়াদী জীবন বীমা করাই আপনার জন্য ভালো হবে। যেমন ধরুন, আপনার সন্তানরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবার আগে তক আপনি মেয়াদী জীবন বীমা করতে পারেন। তারা যদি স্বনির্ভর হয়েই ওঠে তবে তো আর বীমাপত্রের পেছনে অবিরাম টাকা খরচ করে যাবার মানে হয় না। অন্যদিকে যদি এমন কোনো পোষ্য থাকে আপনার, যার পক্ষে যে কারণেই হোক আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন সম্ভব নয় বলে আপনি মনে করেন, তবে আজীবন বীমার কথা ভাবতে হবে।
চার. কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র কিনবেন এ প্রশ্নের জবার তালাশের আগে অন্য একটি প্রশ্ন করুন নিজেকে। আপনার কাঙ্খিত উপকারভোগীদের দরকার কি পরিমাণ? এ দরকার যদি অনুমান করতে পারেন, তবে কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র দরকার, তা বের হয়ে আসবে। কোম্পানির কাগজপত্রে থাকা লাভালাভের চমক লাগানো হিসাব ধরে এ সিদ্ধান্ত কখনোই নিতে যাবেন না। আপনার দরকার হিসাব করুন। নিজের এ অঙ্কের অনুসারেই সিদ্ধান্ত নিন। ভাবুন; আপনার পোষ্যদের প্রতি বছর কি পরিমাণ টাকার দরকার হবে, কত বছর ধরে এ দরকার থাকবে? আপনার পোষ্যরা হয়তো নানা বয়সের, তাদের দরকারের সময় কমবেশি হবে। এসব সূত্র ধরে হিসাব শেষ করুন।
দুই. কোন ধরনের জীবন বীমাপত্র কিনবেন সাধারণত জীবন বীমা মোটাদাগে দুই ধরণের হয়, মেয়াদী বীমা ও আজীবন বীমা। নির্দিষ্ট মেয়াদের জীবন বীমাপত্রে খরচ কম, কারণ সাধারণ বেনিফিট কাজে লাগানোর আগেই এর মেয়াদ শেষ হয়। আর বীমাপত্র কেনার দিন থেকে শুরু করে আপনার মৃত্যুর দিন যাবত আজীবন বীমাপত্রের মেয়াদ। এর দাম বেশি। কারণ মেয়াদ শেষের পর কয়েক বছর থেকে শুরু করে এমনকি কয়েক দশক যাবত এর বেনিফিট দিতে হতে পারে কোম্পানিকে। কাজেই আজীবন বীমাপত্র আপনি বেশি দামে কিনতে পারেন, অন্যদিকে মেয়াদী বীমাপত্রের দামের বিষয়ে কড়া থাকুন।
তিন. মেয়াদ পছন্দ করবেন কিভাবে যদি মনে করেন, আপনার পোষ্যরা চিরকালের জন্য আপনার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল থাকবে না, তবে মেয়াদী জীবন বীমা করাই আপনার জন্য ভালো হবে। যেমন ধরুন, আপনার সন্তানরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবার আগে তক আপনি মেয়াদী জীবন বীমা করতে পারেন। তারা যদি স্বনির্ভর হয়েই ওঠে তবে তো আর বীমাপত্রের পেছনে অবিরাম টাকা খরচ করে যাবার মানে হয় না। অন্যদিকে যদি এমন কোনো পোষ্য থাকে আপনার, যার পক্ষে যে কারণেই হোক আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন সম্ভব নয় বলে আপনি মনে করেন, তবে আজীবন বীমার কথা ভাবতে হবে।
চার. কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র কিনবেন এ প্রশ্নের জবার তালাশের আগে অন্য একটি প্রশ্ন করুন নিজেকে। আপনার কাঙ্খিত উপকারভোগীদের দরকার কি পরিমাণ? এ দরকার যদি অনুমান করতে পারেন, তবে কি পরিমাণ মূল্যের বীমাপত্র দরকার, তা বের হয়ে আসবে। কোম্পানির কাগজপত্রে থাকা লাভালাভের চমক লাগানো হিসাব ধরে এ সিদ্ধান্ত কখনোই নিতে যাবেন না। আপনার দরকার হিসাব করুন। নিজের এ অঙ্কের অনুসারেই সিদ্ধান্ত নিন। ভাবুন; আপনার পোষ্যদের প্রতি বছর কি পরিমাণ টাকার দরকার হবে, কত বছর ধরে এ দরকার থাকবে? আপনার পোষ্যরা হয়তো নানা বয়সের, তাদের দরকারের সময় কমবেশি হবে। এসব সূত্র ধরে হিসাব শেষ করুন।
No comments:
Post a Comment